কন্যা কুমারী দেবী মন্দির


দক্ষিণ ভারতের কন্যা কুমারীতে তিনটি সমুদ্রের মিলন স্থলে মা পার্বতীর এই মন্দির অবস্থিত । এখানে মা পার্বতীর কুমারি রূপে বিরাজমান । আরব সাগর , বঙ্গপোসাগর ও ভারত সাগরের মিলন স্থলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অত্যন্ত আকর্ষণীয় ।এই মন্দিরে পুরুষ দর্শনার্থীদের কোমর থেকে উপরের বস্ত্র ত্যাগ করে মন্দিরে প্রবেশ করতে হয় । পুরানে কথিত আছে মা পার্বতী দেবাদিদেব মহাদেবকে স্বামী রূপে পাওয়ার জন্য এখানে তপস্যা করেন । মহাদেব মার তপস্যা প্রসন্ন হয়ে মা পার্বতীকে বিবাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন । কিন্তু এদিকে বানাসুর নামে এক অসুর দেবতা ও মর্তবাসিদের জীবন দুর্বিষহ করে তোলে, ব্রহ্মার বর অনুযায়ী একমাত্র কুমারি নারী তাকে সংহার করতে পারবে । অন্যদিকে মার বিবাহের আয়োজন চলছে । কিন্তু এই বিবাহ হলে বানাসুরকে সংহার করা সম্ভব নয় । তাই দেবতারা নারদ মুনির পরামর্শে বিবাহের সময় নির্ধারণ করেন । শেষ রাত্রে বিবাহের সময় নির্ধারণ করা হয় । মহাদেব সময় অনুযায়ী দেবীকে বিবাহের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করলেন । যখন তিনি বাল্যকাপুরম পৌঁছান তখন নারদ মুনি এক মোরগের বেশ ধরে উচ্চস্বরে চিত্‍কার শুরু করেন। ঐ আওয়াজ শুনে মহাদেব ভগ্ন হৃদয়ে চলে যান । তখন মা পণ করেন তিনি চিরকুমারী হয়ে থাকবেন। বিবাহের জন্য যে চাল ও ডাল আনা হয়েছিল তা এই সমুদ্র তটে ফেলে দেওয়া হয় । পরে এই চাল ডাল কাঁকড়ে রূপান্তরিত হয়৷

আজও এই সমুদ্র তটে চাল ও ডালের আকারে ছোট ছোট পাথর দেখা যায় । দেবীর নামেই এই স্থানের নাম কন্যাকুমারী । এই দিব্য কাহিনীর সাক্ষী হয়ে আছে এই সমুদ্র তট ।


কথায় আছে বিশ্বাসে ভগবান তর্কে বহুদূর । এই লেখাটি কোনও রকম অন্ধবিশ্বাস কে প্রশয় দিয়ে নয়। আপনাদের বিবেচনার উপর আমাদের সম্পূর্ণ আস্থা রইল।

সংগৃহীত: Dailyhunt.in

Post a Comment

0 Comments