যে আগে নমস্কার জানায় সে অহংকার মুক্ত ও বিনয়ী ৷
“নমস্কার” পরমাত্মা দর্শনের অন্যতম উপায় (শ্বেতাশতর উপনিষদ: ২-১৭) ৷ ঈশ্বর পরমাত্মা রুপে প্রতিটি মানুষের মধ্যে অবস্থান করছেন (গীতা ১৩/২৩; ১৮/৬১ এবং ১০/২০) ৷
গুরুজনদের, কনিষ্ঠদের, পূর্বজদের, অনুজদের, আত্মীয়দের, ধনী-দরিদ্র সকলকে নমস্কার (যদুর্বেদ: ১৬/৩২) ৷
“যো দেবো অগ্নৌ যো অপসু যো বিশ্বং ভূবনাবিবেশ য ওষধীষু যো বনস্পতি তস্মৈ দেবায় নমো নমঃ॥”(শ্বেতাশ্ব তর উপনিষদ ২-১৭)
“যোগ যেমন পরমাত্মার দর্শনের সাধন বা উপায় ,নমস্কারাদিও অনুরূপ বলিয়া তাঁহাকে নমস্কার জানাই।”
তিনি কি রুপে? তিনি দেব অর্থাৎ পরমাত্মার প্রকাশভাব । তিনি কোথায়? তিনি আছেন অগ্নিতে,জলে,তৃণ -লতাদিতে, অশ্বাথাদি বৃক্ষে,তিনি এই বিশ্বভুবনে অন্তর্যামীরুপে অণুপ্রবিষ্ট হইয়া আছেন।”
তাই যখন কাউকে নমস্কার জানানো হয় তখন মূলত সর্বজীবে অন্তর্যামীরুপে অবস্থিত পরমাত্মাকেই প্রণতি নিবেদন করা হয় ,কোন মনুষ্যদেহকে নয় । সুতরাং,নমস্কার সকলকেই জানানো যায়।
দুইহাত জোড় মূলত অহম্ ত্যাগ পূর্বক বিনয়ভাব প্রকাশের জন্য ব্যবহৃত হয়।
ড. মহানামব্রত ব্রহ্মচারী বলেন, নমস্কার হলো- “With head and heart I salute the god in you”.
সংস্কৃতিভেদে করজোড়ে কিছুটা বৈচিত্র্য দেখা যায় যেমন দেবতাদের উদ্দেশ্যে সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শন করতে সাধকরা মাথার উপরে দু’হাত জোড় করে থাকেআবার কোন ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাতে নমস্কার জানাতে বুকের বরাবর হাত জোড় করা একই সাথে পরমাত্মাকে প্রণতি ও আয়ুষ্মান (দীর্ঘায়ু কামনা) -কে নির্দেশ করে।
কাজেই নমস্কার কোন ব্যক্তিকে করা হয়না; ব্যক্তির মধ্যস্থিত পরমাত্মাকে নমস্কার করা হয় ৷ অপরদিকে এটি নম্রতা ও বিনয় প্রকাশ করে ৷ সবাইকেই নমস্কার জানানো যায় ৷
দেবীগঞ্জ, পঞ্চগড়
0 Comments
www.facebook.com/mongoldhoni.debiganj